নেশাগ্ৰস্থ নাতি পিটিয়ে মারলো ঠাকুমাকে : চাঞ্চল‍্যকর ঘটনা মাধবডিহিতে

25th August 2020 10:25 pm বর্ধমান
নেশাগ্ৰস্থ নাতি পিটিয়ে মারলো ঠাকুমাকে : চাঞ্চল‍্যকর ঘটনা মাধবডিহিতে


বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান )  :  নেশাগ্ৰস্থ গুনধর নাতির কীর্তি । নেশার টাকা না পাওয়ার জন‍্য বৃদ্ধ ঠাকুমাকে পিটিয়ে খুন করলো । এমন ই ঘটনার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল‍্য পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি এলাকায় । ধৃতের নাম আশিস পালধি । তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার বড়বৈনান গ্রামে । বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বছর ৮৫ বয়সী ঠাকুমা বীনাপানি পালধি কে প্রাণে মারার অভিযোগে পুলিশ আশিসকে গ্রেপ্তার করে । খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত বাঁশের লাঠিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ।  ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বড়বৈনান গ্রামে বসবাস করেন বীনাপানি দেবীর ছোট ছেলে সত্যনারায়ণ পালধি । স্বামী মারা যাবার পর থেকে বীনাপানি দেবী ছোট ছেলের কাছেই থাকা শুরু করেন । বছর দুই আগে সত্যনারায়ণের ছেলে আশিস বিহারের একটি হিমঘরে মেকানিকের কাজ করতে যায়। সেখানে গিয়ে সে নেশা আসক্ত হয়ে পড়ে।  সেখান থেকে বছর খানেক আগে সে নিজেদের  বাড়িতে  ফেরে আসে। এরপর থেকে নেশার টাকার জন্য হামেশাই সে তাঁর বাবা-মার উপর চাপ সৃষ্টি করতো। প্রতিবেশীরা বলেন,মাস ৫ আগে নেশার টাকা না পেয়ে আশিস তাঁর মাকে কাটারি দিয়ে কুপিয়েছিল । বরাত জোরে তার মা প্রাণে বেঁচে যায়। নেশা করার জন্য  আশিস প্রথমে তাঁর বাবার কাছে ২০০ টাকা চায়। পরে মায়ের   কাছেও  টাকা চায়। মা ও বাবা  টাকা না দেওয়ায় সে  বৃদ্ধা ঠাকুমার কাছে টাকা চায়।  ঠাকুমা টাকা দিতে না পারায় আচমকাই বাঁশের লাঠি দিয়ে আশিস তার ঠাকুমাকে বেপরোয়া ভাবে মারতে শুরু করে ।মারধোরে মারাত্মক জখম হয়ে বৃদ্ধা সংজ্ঞা হারান । তাকে উদ্ধার করে মাধবডিহি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় বৃদ্ধাকে  সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধাকে  মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে  মৃতের আত্মীয়  সদানন্দ পালধি মাধবডিহি থানায়  অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ রাতে  বৃদ্ধার নাতিকে গ্রেপ্তার করে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।